খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আওয়ামী ও বিএনপির রশি টানাটানিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চৌগাছা পৌর পশুহাট

আহাম্মেদ, যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী ও বিএনপির রশি টানাটানিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চৌগাছা পৌর পশুহাট
যশোরের চৌগাছার ঐতিহ্যবাহি পৌর পশুহাট অবশেষে জায়গা সংকটের কারনে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কালী গঞ্জ বারোবাজারের আওয়ামীলীগ নেতা লালু ও চৌগাছার  বিএনপি নেতা আতাউর রহমান লাল যৌথ ভাবে ইজারা নিয়ে  বাবসা পরিচালনা করে আসছেন চৌগাছার বিএনপি নেতা লাল, তিনি তার শশুর ও অন্যদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে  পশু হাট পরিচালনা  করে আসছেন, কিন্তু ৫ ই আগস্ট এর পর থেকে চৌগাছার বিশিষ্ট বিসিআইসি  সার ডিলার  লেন্টু কাঁচাবাজার এর পাশা পাশি পশু  হাট বেশি নিলামে ইজারা নেওয়ার জন্য টাকা জমা দেই, কিন্তু আওয়ামী বিএনপি পন্থী লাল সুকৌশলে চৌগাছা পৌর সভা থেকে একটা লিখিত পেপার্স হাতিয়ে নেই, পরে তা জানতে  পেয়ে  সার বাবসায়ী উচ্চ আদালতে মামলা করেন, যার কারণে  মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গো হাটার  খাজনা টাকা  আদায় পৌর প্রশাসকের  হাতে চলে যায়, ৪ সপ্তাহের মধে মামলার শুনানি শেষ করার জন্য উচ্চ আদালত নির্দেশ দেন   
কিন্তু আওয়ামী বিএনপি  পন্থী লাল তার  শশুরালয় উপজেলা প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ এর সাবেক চেয়ারম্যান ও নেতা শুকুর আলী মৃধার জমির পরিমাণ বেশি হওয়ায় গো -হাটার আঁশে পাশের জমি  আর  লিজ দিবে না  কারণ জামাই  বাবু বিএনপি র নেতা  লাল এর হাট না থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকায়,
হাটে প্রবেশের প্রধান গেইট তারা বড়বড় বাঁশ আর পেরেক মে রে বন্ধ করে দিয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায় উপজেলা প্রশাসন একটা  চক্র লে টাকার বিনিময়ে হাট পাবার পক্ষে কাজ করছেন বলে  এলাকাবাসী  জানান
ফলে কুরবানীর আগে এমনকি পরেও আদৌ চৌগাছায় পশুহাট বসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংসয়।
তবে অনেকে মনে করছেন হাট নিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষের রশি টানাটানির ফলে এই বেহালদশা ক্ষতি গ্রস্থ হবে পৌরসভা তথা এ জনপদের মানুষ।
এলাকাবাসি বলেন লাল চেয়ারম্যান  দীর্ঘ আওয়ামীলীগ এর শাসনামলে হাটের ইজারা নিয়া খাজনা আদায় করেছেন, এখন সবাই পরিবর্তন চাই , ফলে লালের উচিৎ কালীগঞ্জের ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ এর নেতার পক্ষে কাজ না করে চৌগাছা উপজেলা বাসির যে করো অধীনে পশু হাটটি পরিচালিত হোক
জানা গেছে, চৌগাছা মহেশপুর সড়কে অত্যান্ত মনোরম পরিবেশে বছরের পর বছর ধরে চৌগাছা পৌর পশুহাট চলে আসছিলো।
পৌরসভার মাত্র ৩০ শতাংশ জমি আর  প্রায় ১০ বিঘা জমি ছিলো  লাল চেয়ারম্যান এর শশুর সহ নিকট আত্মীয় থেকে লিজ নেয়া মৃধা দের কাছ থেকে   
বুধবার  আওয়ামী বিএনপির পন্থী জামাই লাল বাবুর হাতে খাজনা আদায় নাই বলে জমি মালিক গণের নাম ভাংগিয়ে আর জমি দিবেন না মর্মে তাদের জমিতে প্রবেশ করা প্রধান সড়কটি বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরী করে দিয়েছে।
আর হাটের ভিতরে গরু বেধে রাখা বাঁশখুটি খুলে নিয়ে যেতে শুরু করেছে  আওয়ামীলীগ নেতা ও বিএনপির সুবিধা ভোগী লাল  চেয়ারম্যান যা পূর্বের হাট মালিক।
ফলে কুরবানীর আগে আর চৌগাছা পশুহাট বসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংসয়।
চৌগাছায় পশুহাট বসবে না এমন খবরে দিনের বেশির ভাগ সময় পশুহাটের স্থানে স্থানীয় জনতা, গরু ক্রেতা বিক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসা য়ীরা ভিড় করেন।
তাদের সকলের একটিই দাবি চৌগাছাবাসির প্রান বলে খ্যাত এই পশুহাট যেন নষ্ট না হয়। হাটকে কেন্দ্র করে শতশত মানুষের রুজি রুটির ব্যবস্থা হয়েছে, হাট বসবে না এমন খবরে তারা ছুটে এসেছেন এবং অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন বিগত বছর গুলোতে জমি মালিকগন যারা হাট চালিয়েছে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলো।
এখন তারা হঠাৎ করে জমি লিজ দিবেনা এবং তাদের সমুদয় জমি ঘিরে দিয়েছে এতে করে হাট বসানো তো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, নানা চড়াই উতরাই পার করে চৌগাছা পৌর পশুহাট মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে।
হাট বসাতে পৌরসভা যখন জমি খুজে পেতে ব্যর্থ তখন গোবিন্দ কুমার ও আতাউর রহমান লাল বর্তমান হাটের পাশে ৩০ শতক জমি পৌরসভার নামে ক্রয় করে দেন। এই সুবাধে প্রতি বছর লাল চেয়ারম্যান প্রায়  নেম মাত্র হারে হাট ইজারা পেয়ে থাকেন   
আওয়ামী বিএনপি আতাউর রহমান লাল পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট হতে পশুহাট নতুন বাংলা সনে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা দিয়ে চুক্তি করে নেন। আর এতে বাধসাধে বিএনপি কর্মী আতিকুর রহমান লেন্টু। সে আরও বেশি টাকা দিবেন মর্মে মহামান্য আদলতে একটি রিট করেন।
আদালত ওই চুক্তি স্থগিত করার পাশাপাশি পৌরসভা কে খাস আদায়ে নির্দেশনা দেন। বাংলা সনের প্রথম থেকেই পৌরসভা খাস আদায় করে আসছিলো।
সূত্র জানায়, গত সোমবার মহামান্য আদালত থেকে একটি নির্দে শনা এসেছে পুনরায় পশুহাট টেন্ডার করার জন্য।
ইতোমধ্যে পূর্বের হাট মালিকরা আর টেন্ডারে যাবে ননা এমনকি হাটও চালাবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
জমি মালিক লাল চেয়ারম্যান এর শশুর  আওয়ামীলীগ নেতা শুকুর চেয়ারম্যান,আতিয়ার মৃধা, মন্টু মৃধা,ওলিয়ার মৃধা, আব্দুল করি ম, আজিত হোসেন বলেন,চেয়ারম্যান লাল যখন হাট চালাবেনা তখন এই জমি আমরা অন্যত্র লিজ দিবোনা।
বিগত হাটের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সাবেক মেম্বর গোবি ন্দ কুমার রাহা বলেন, পৌরসভার সাথে আমরা চুক্তি বদ্ধ হওয়ার পর এক জন ব্যক্তির কারনে আদালত সেটি স্থগিত করলো। এখন আদালত রিটেন্ডারের আদেশ দিয়েছে।
পৌরসভা রিটেন্ডার দিবে আমরা কি করবো সেটি ভেবে দেখবো এরই মধ্যে জায়গা মালিকরা জমি লিজ দিবেনা বলে জানিয়ে দিয়ে ঘিরে দিয়েছে।
রশি টানাটানি ছেড়ে চৌগাছায় পশুহাট কি ভাবে রাখা যায় সেদিক সকলের নজর দেয়ার আহবান জানিয়েছেন হাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও উপজেলার সচেতন মহল।

সাংবাদিক সাঈদুর রহমান চৌধুরীর শ্বশুর জাফর আলীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

শেখ শহীদুল ইসলাম বাবলু
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
সাংবাদিক সাঈদুর রহমান চৌধুরীর শ্বশুর জাফর আলীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও মাল্টিমিডিয়া বিভাগের হেড অব নিউজ সাঈদুর রহমান চৌধুরীর শ্বশুর মোহাম্মদ জাফর আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় গ্রামের বাসিন্দা।

গত বুধবার (৪জুন ) রাত ১১টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।সেইসাথে সম্প্রতি তিনি যক্ষা রোগেও আক্রান্ত হন।

তার মৃত্যূর খবর নিশ্চিত করে সাংবাদিক সাঈদুর রহমান চৌধুরী বলেন,বৃহস্পতিবার বিকালে আমার শ্বশুর আব্বা অসুস্থতা বোধ করলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।রাতের দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।পরে রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান।ডাক্তার জানিয়েছেন তিনি কার্ডিয়াক এরেস্টে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ই জুন) সকাল ১১টায় জানাজার নামাজ শেষে নিজ গ্রাম পূর্ব কাটগড় আলিফ মসজিদ কবরস্থানে মরহুমের দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

তার মৃত্যুতে পরিবার,গ্রামবাসী,পূর্ব কাটগড় প্রবাসী কল্যাণ সমিতি সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।

তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ১১ লক্ষ টাকা আত্মশাৎ এর অভিযোগ

ইয়াসিন আলী
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ১১ লক্ষ টাকা আত্মশাৎ এর অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারি বিল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে পার্কে ভরাট করে উন্নয়ন প্রকল্প দেখি য়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমি টির সভাপতির নামে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য বলছেন, সব কাজ ইউএনও স্যার করেছেন, আমি কিছুই জানিনা। টাকা তুলে ইউএনও স্যারের নামে তার অফিসের লোকের কাছেই বুঝিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের কর্মচারী বলছেন, টাকা প্রকল্পের, স্যারের হাতেই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিরর অন্য একজন ইউ পি সদস্যকে দিয়ে একই স্থানের উন্নয়নের নামে আরও ১১ লাখ টাকা টাকা উত্তোলন কর তে চাইলে, ওই ইউপি সদস্যের বিরোধীতায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার বিল দিলে ও প্রকল্প বাস্ত বায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য’র দাবি ব্যাংকে জমা করেননি বিলটি।
জানা গেছে , জীবননগর উপজেলার কে.ডি.কে ইউনিয়নের এক তারপুর বাওড়ের পাশে বেশ কয়েক বছর ধরে একটি পার্কের কাজ চলছে।
ইতোমধ্যেই পার্কের উন্নয়নের জন্য এডিপির মাধ্যমে কিছু কাজ চলমান রয়েছে।
তবে এই পার্কের সাইড বাড়ানোর জন্য জীবন নগর উপজেলা নিবা হী অফিসার একতারপুর বাওড় থে কে বেশ কিছু দিন যাবৎ বালি তুলছি লেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বালি তোলা বন্ধ করে দেন ইউএনও।
এদিকে সরকারি বাওড় থেকে বালি তুলে পার্ক ভরা ট করা হলেও সেখানে পার্ক উন্নয়ন নামে প্রকল্প দেখি য়ে ২ লাখ টাকা ইতোমধ্যেই তুলে নিয়েছেন জীবনন গর উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএন ও) মোঃ আল আমিন।
কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য ও ওই পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি স্বপ্না খাতুন বলেন, দুইবারে দুই লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
ইউএনও স্যার আমাকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমি টির সভাপতি বানিয়েছেন । আমার হাতে টাকা পয়সা কিছু দেয়নি।
আমাকে শুধু নাম মাত্র সভাপতি করা হয়েছে । ওখানে কাজ হচ্ছে কিনা তাও আমি জানিনা।’
আমি স্যারের অফিসের সোহেলর কাছে টাকা দিয়ে এসেছি । আমাকে এক টাকাও দেয়নি।
একজন ইউএনও যদি বলে, আমি কি করবো। তারপরও আমি ইউএনও কে বলে এসছি, এর পর থেকে আমাদের পিআইসি করবেন না। আমাদের মাথার ওপর ভেঙ্গে আপনি খাচ্ছেন, আমরা খাচ্ছি না।
অনুসন্ধানের এক পর্যায়ের মুঠোফোনে যোগা যোগ করা হয়, উপ জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী সোহেল রা নার সাথে। প্রথমে টাকার বিষয় অস্বীকার করলেও, স্বপ্না খাতুনে র নাম শোনা র পর সোহেল রানা বলেন, ‘প্রকল্পটা বিভাগীয় কমি শনার স্যারের।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ( পিআই সি) স্বপ্না খাতুন। তবে কাজ সম্পূর্ণ করছেন ইউএনও স্যার।
স্বপ্না খাতুনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপজে লা পরি ষদের সিএ পিট্টু ভাইয়ের কাছে আমি টাকা টা দিয়েছিলাম।
কথা বলার এক পর্যায়ে সোহেল রানা বলেন এখানে পিট্টু ভাই আছেন। তার সাথেই আপ নি কথা বলেন।
মুঠোফোনটি উপজেলা পরিষদের সিএ সে লিম আহ সানুর রহমান পিটু হাতে নিয়ে বলেন, ‘ওটা প্রকল্পের টাকা। টাকাটা আমি নিইনি।
আমার নেয়ার ক্ষমতা নেই। সোহেল আমার কাছে দিয়েছে রাখার জন্য, ইউএনও স্যার রাখতে বলে ছেন।
টাকা স্যারের কাছে আছে। ব্যায় হয়েছে কি না,বলতে পারছি না। স্যার বোধহয় প্রকল্পের কাজে টাকা ব্যায় করেছেন ।
অপরদিকে, একই স্থান ওই পার্কের উন্নয়নে র নামেই কেডিকে ইউ নিয়নের আর এক ইউপি সদস্য আব্বাস আলীকে আর একটি প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) করা হয়েছে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আ মিন নিজে কাজ করলেও ইউপি সদস্য আ ব্বাস আলীকে দিয়ে প্রকল্পের টাকা উঠানো র জন্য ইউএনও অফিস থে কে চাপ দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে অর্ধেক ব্যায় তথা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বিল উঠানোর কাজগপত্র ইউপি সদস্য আব্বাস আলীকে দেয়া হয়েছে।
তবে নিজে কাজ না করে আবার টাকা তুলে দেয়া টাকে নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা মনে কর ছেন ইউপি সদস্য আব্বাস আলী। তিনি বাধ সেধেছেন, টাকা তুলবেন না।
কে.ডি.কে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আব্বাস আলী বলেন, একতারপুর বাওড়ের পাশে যে পার্ক নির্মান হচ্ছে ওখানে মাটি ভরা টের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ( পি আইও) অফিস থেকে আমাকে প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) করে ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন।
কিন্তু পিআইসি হিসাবে আমার নাম থাকলে ও ইউএ নও স্যার নিজে বাওড় থেকে বালি তুলে সেটা ভরাট করছেন। এখন আমাকে উপজে লায় ডেকেছিলেন টাকা তুলে দিতে বল ছেন।
সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক (কাগজ) দিয়েছেন। ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য। আমি জমা দেইনি।
আমার দোকানে রেখে দিয়েছি। আমি বলে এসছি, কাজের পিআইসি আমি, আমি জা নি না কাজ শেষ হয়েছে।
আমি কাজ না করে টাকা তুলবো না। আমি কালকে ইউএনও সারের সাথে দেখা কর বো। স্যার কে বল বো, আমি পিআইসি হলে আমা কে দিয়েই কাজ করা তে হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অঞ্জন কুণ্ডু বলেন, একতার পুর বাওড়ের পাশে পা র্কের উন্নয়ন কাজে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি র সভাপতি ( পিআ ইসি) ইউপি সদস্য স্বপ্না খাতুন দুই বারে এক লাখ টাকা মোট দুই লাখ টাকা তুলেছেন।
এছাড়া, আরেকজন পিআইসি ইউপি সদস্য আব্বাস আলীর বরাদ্দ ১১ লাখ টাকা।
এরমধ্যে অর্ধেক সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসা র (ইউএনও) মোঃ আল আমিনের সাথে কথা বলার জন্য মুটোফোনে যোগা যোগ ক রার চে ষ্ঠা করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’নিজস্ব প্রতিবেদক,চুয়াডাঙ্গা:চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলা নির্বা হী অফিসারের বিরুদ্ধে সরকা রি বিল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে পার্কে ভরাট করে উন্নয়ন প্রকল্প দেখি য়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমি টির সভাপতির নামে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য বলছেন, সব কাজ ইউএনও স্যার করে ছেন, আমি কিছুই জানিনা। টাকা তুলে ইউএ নও স্যারের নামে তার অফিসের লোকের কাছেই বুঝিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের কর্মচারী বলছেন, ‘টাকা প্রকল্পের। স্যারের হাতেই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিরর অন্য একজন ইউ পি সদস্যকে দিয়ে একই স্থানের উন্নয়নের নামে আরও ১১ লাখ টাকা টাকা উত্তোলন কর তে চাইলে, ওই ইউপি সদস্যের বিরোধীতায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার বিল দিলে ও প্রকল্প বাস্ত বায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য’র দাবি ব্যাংকে জমা করেননি বিলটি।
জানা গেছে , জীবননগর উপজেলার কে.ডি.কে ইউনিয়নের এক তারপুর বাওড়ের পাশে বেশ কয়েক বছর ধরে একটি পার্কের কাজ চলছে।
ইতোমধ্যেই পার্কের উন্নয়নের জন্য এডিপির মাধ্যমে কিছু কাজ চলমান রয়েছে।
তবে এই পার্কের সাইড বাড়ানোর জন্য জীবন নগর উপজেলা নিবা হী অফিসার একতারপুর বাওড় থে কে বেশ কিছু দিন যাবৎ বালি তুলছি লেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বালি তোলা বন্ধ করে দেন ইউএনও।
এদিকে সরকারি বাওড় থেকে বালি তুলে পার্ক ভরা ট করা হলেও সেখানে পার্ক উন্নয়ন নামে প্রকল্প দেখি য়ে ২ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ই তুলে নিয়েছেন জীবনন গর উপজেলা নিবাহী অফি সার (ইউএন ও) মোঃ আল আমিন।
কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য ও ওই পার্কের অবকাঠামোগত উন্ন য়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি স্বপ্না খাতু ন বলেন, ‘দুইবা রে দুই লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়ে ছে।
ইউএনও স্যার আমাকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমি টির সভাপতি বানি য়েছেন । আমার হাতে টাকা পয়সা কিছু দেয়নি।
আমাকে শুধু নাম মাত্র সভাপতি করা হয়েছে । ওখানে কাজ হচ্ছে কিনা তাও আমি জানিনা।’
আমি স্যারের অফিসের সোহেলর কাছে টাকা দিয়ে এসেছি । আমাকে এক টাকাও দেয়নি।
একজন ইউএনও যদি বলে, আমি কি করবো। তার পরও আমি ইউএনও কে বলে এসছি, এর পর থেকে আমাদের পিআইসি করবেন না। আমাদের মাথার ওপর ভেঙ্গে আপনি খাচ্ছেন, আমরা খাচ্ছি না।
অনুসন্ধানের এক পর্যায়ের মুঠোফোনে যোগা যোগ করা হয়, উপ জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী সোহেল রা নার সাথে। প্রথমে টাকার বিষয় অস্বীকার করলেও, স্বপ্না খাতুনে র নাম শোনা র পর সোহেল রানা বলেন, ‘প্রকল্পটা বিভাগীয় কমি শনার স্যারের।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ( পিআই সি) স্বপ্না খাতুন। তবে কাজ সম্পূর্ণ করছেন ইউএনও স্যার।
স্বপ্না খাতুনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপজে লা পরি ষদের সিএ পিট্টু ভাইয়ের কাছে আমি টাকা টা দিয়েছিলাম।’
কথা বলার এক পর্যায়ে সোহেল রানা বলেন এখানে পিট্টু ভাই আছেন। তার সাথেই আপ নি কথা বলেন।
মুঠোফোনটি উপজেলা পরিষদের সিএ সে লিম আহ সানুর রহমান পিটু হাতে নিয়ে বলেন, ‘ওটা প্রকল্পের টাকা। টাকাটা আমি নিইনি।
আমার নেয়ার ক্ষমতা নেই। সোহেল আমার কাছে দিয়েছে রাখার জন্য, ইউএনও স্যার রাখতে বলে ছেন।
টাকা স্যারের কাছে আছে। ব্যায় হয়েছে কি না,বলতে পারছি না। স্যার বোধহয় প্রকল্পের কাজে টাকা ব্যায় করেছেন ।’
অপরদিকে, একই স্থান ওই পার্কের উন্নয়নে র নামেই কেডিকে ইউ নিয়নের আর এক ইউপি সদস্য আব্বাস আলীকে আর একটি প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) করা হয়েছে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আ মিন নিজে কাজ করলেও ইউপি সদস্য আ ব্বাস আলীকে দিয়ে প্রকল্পের টাকা উঠানো র জন্য ইউএনও অফিস থে কে চাপ দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে অর্ধেক ব্যায় তথা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বিল উঠানোর কাজগপত্র ইউপি সদস্য আব্বাস আলীকে দেয়া হয়েছে।
তবে নিজে কাজ না করে আবার টাকা তুলে দেয়া টাকে নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা মনে কর ছেন ইউপি সদস্য আব্বাস আলী। তিনি বাধ সেধেছেন, টাকা তুলবেন না।
কে.ডি.কে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আব্বাস আলী বলেন, ‘একতারপুর বাওড়ের পাশে যে পার্ক নির্মান হচ্ছে ওখানে মাটি ভরা টের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ( পি আইও) অফিস থেকে আমাকে প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) করে ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন।
কিন্তু পিআইসি হিসাবে আমার নাম থাকলে ও ইউএ নও স্যার নিজে বাওড় থেকে বালি তুলে সেটা ভরাট করছেন। এখন আমাকে উপজে লায় ডেকেছিলেন টাকা তুলে দিতে বল ছেন।
সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক (কাগজ) দিয়ে ছেন। ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য। আমি জমা দেইনি।
আমার দোকানে রেখে দিয়েছি। আমি বলে এসছি, কাজের পিআইসি আমি, আমি জা নি না কাজ শেষ হয়েছে।
আমি কাজ না করে টাকা তুলবো না। আমি কালকে ইউএনও সারের সাথে দেখা কর বো। স্যার কে বল বো, আমি পিআইসি হলে আমা কে দিয়েই কাজ করা তে হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অঞ্জন কুণ্ডু বলেন, একতার পুর বাওড়ের পাশে পা র্কের উন্নয়ন কাজে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি র সভাপতি ( পিআ ইসি) ইউপি সদস্য স্বপ্না খাতুন দুই বারে এক লাখ টাকা মোট দুই লাখ টাকা তুলেছেন।
এছাড়া, আরেকজন পিআইসি ইউপি সদস্য আব্বাস আলীর বরাদ্দ ১১ লাখ টাকা।
এরমধ্যে অর্ধেক সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা তোলা হয়ে ছে।’
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসা র (ইউএনও) মোঃ আল আমিনের সাথে কথা বলার জন্য মুটোফোনে যোগা যোগ ক রার চে ষ্ঠা করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’

বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক:পর্যটন এলাকায় সৌন্দর্য রক্ষায়

স্যামি চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৩:২৪ অপরাহ্ণ
বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক:পর্যটন এলাকায় সৌন্দর্য রক্ষায়

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে বান্দরবান। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এ জেলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে বিদেশেও। এ শিল্পের উন্নয়নে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী’সহ স্থানীয়দের আরও যত্নশীল ও সচেতন হতে হবে। সোমবার বান্দরবানের জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, গোটা জেলাটিকে পর্যটন বান্ধব গড়ে তোলতে হবে। পর্যটন শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় রিক্সা-মোটরসাইকেল, সিএনজি’সহ বিভিন্ন গাড়ির গ্যারেজ, ভাঙ্গাচুরার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শহরের মূল সড়কগুলো সরিয়ে পর্যটকদের চোখের আড়ালে নিতে হবে।
জরাজীর্ণ দোকান অবকাঠামো গুলো ভেঙে সাজানো গোছানো পরিচ্ছন্ন পর্যটন শহর গড়ে তোলতে পরিপাটি রাখতে হবে যাতে পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়। শহরের ফুটপাত-রাস্তাঘাট অলিগলি গুলো দখলমুক্ত রাখতে হবে যাতে ভ্রমণকারী পর্যটকরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে। তিনি বলেন, পর্যটন মানে হচ্ছে আতিথেয়তা। সেবার মন-মানসিকতা নিয়ে
সুন্দর ব্যবহার এবং আতিথেয়তায় মুগ্ধ করে তোলতে হবে পর্যটকদের। ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকের ঢল নামবে জেলায়। এসময়ে কোনো ধরনের পর্যটক হয়রানি এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টরা মনিটরিং কমিটি গঠন করে তদারকি করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিসি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আবু তালেব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মমতা আফরিন, জেলা প্রশাসনের এনডিসি আসিফ রায়হান, জেলা হোটেল রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ট্যুরিস্ট জীপগাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম, রেষ্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মাস্টার, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সহ সকলে উপস্থিত ছিলেন