খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কেশবপুর পৌরসভার তিন কোটি টাকার কাজ শেষ না হতেই ধস

হাফিজুর রহমান ,যশোর
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ণ
কেশবপুর পৌরসভার তিন কোটি টাকার কাজ শেষ না হতেই ধস

কেশবপুর পৌরসভার বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যায়ে শহরের খ্রিস্টান মিশন থেকে ১৩৩৯ মিটার আরসিসি সড়কের কাজ শেষ না হতেই এক অংশ ধসে পড়েছে। গত ২০ মে সড়কের প্যালাসাইটিং কাজ শেষ করে আরসিসি ঢালাইয়ের ৮০ ভাগ কাজ শেষ করে তার উপর কচুরিপানা দেয়া হয়। এর ১০ দিনের মাথায় গত ৩১ মে ৫০ মিটার প্লাসাইটিংসহ সড়কের একটি অংশ ধসে পড়েছে।

সুত্র জানায়, নগর শাসন উন্নয়ন বিশেষ প্রকল্পের আওতায় চারটি প্যাকেজে কেশবপুর পৌরসভায় প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যায়ে অবাকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলছে। এসব কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠায় পৌর প্রশাসক মাঝে মধ্যে কাজ বন্ধ করে দিলেও কিছুদিন পর আবার একই ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।

পৌরসভার সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীন এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও উন্নয়ন সংস্থা এএফডি ব্যাংলাদেশ সরকার এর বিশেষ বরাদ্ধের আওতায় নগর শাষন ও অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় কেশবপুর পৌরসভায় চারটি প্রকল্পে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। যার টেন্ডার আইডি নং- ৯০৫১৩২। চলতি মাসের প্রথম দিকে কাজ শুরু করে একই বছরের একই অর্থ বছরের জুলাই আগস্টের দিকে কাজ শেষ করার কথা।

এই প্রকল্পের অধীন পৌর শহরে খ্রিস্টান মিশন থেকে ভোগতিনরেন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলামের পুকুর পাড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মানে ৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এ প্যাকেজের আওতায় ড্রেন ও কালভার্ট নির্মানের কাজও রয়েছে। সড়কে আর সিসি ঢালাই দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় ভোগতি গ্রামের সাহেবালি খানের পুকুর পাড় প্লাসাইটিংসহ ৫০ ফুট নিয়ে সড়কের এক অংশ ধসে পড়েছে।

পৌরবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আবু সাঈদ চারটি প্যাকেজের কাজ সিডিউর অনুযায়ী না করে এ প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অতি নিম্নমানের ইটের খোয়া, ২ নং ইট, সাদা ডাস পাথর এবং মাটি মিশ্রিত ডিট বালু ব্যবহার করছেন। ফলে সড়কসহ সকল অবকাঠামো নির্মান কাজে ফাটলসহ ঢালাইয়ের পাথরসহ খোয়া উঠে যাচ্ছে। এছাড়া ঢালাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সিমেন্টও ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে পৌরবাসীর অভিযোগ। এরই মধ্যে থানার মোড় থেকে বায়সা মসজিদ পর্যন্ত এক কিলোমিটার আরসিসি সড়ক, মধ্যকুল আরসিসি সড়ক, গোহাটার পাশে আরসিসি সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। এদিকে, সমপরিমান কাজ না করেও ওই ঠিকাদারকে অতিরিক্ত বিলও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

সুত্র আরো জানায়, প্রত্যেকটি প্রকল্পের সামনে সাইনবোর্ড টানানোসহ কাজের তথ্য প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা গোপন রাখা হয়েছে। প্রকল্পের তথ্য চাইলে পৌরসভার কর্মকর্তারা এবং মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ার একে অপরকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। চারটি প্যাকেজের নির্মান কাজে একেবারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় পৌরবাসী একাধিকবার পৌর প্রশাসককে জানালে তিনি এসব কাজে তদারকি বাড়াবেন বলে জানান।

ভোগতি ও মধ্যকুল গ্রামের সাহেব আলী, ইসলাম , মাসুদ সরদার জানান, ভোগতি ও মধ্যকুল তেলপাম্প পর্যন্ত আরসিসি সড়ক নির্মানে ৩ নং ইটের খোয়া, ২ নং ইট,মাটি সিশ্রিত বালি, ও ডাস্ট পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ৭ ইন্চি পুরু করে ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও ৩ থেকে ৫ ইন্চি ঢালাই দেয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। ফলে কয়েক মাস যেতে না যেতেই সড়কটি ভেঙ্গে পূর্বের চেহারায় ফিরে আসবে। তারা এব্যাপারে তদন্তের দাবি জানান।

পৌরবাসী চারটি প্যাকেজে ৪৬ কোটি টাকার বাস্তবায়িত প্রকল্পের কাজগুলি তদন্ত পূর্বক ঠিকাদারসহ এরসাথে অনিয়মে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
এ প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা ঢাকার মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল্লা বলেন, সঠিকভাবে কাজের তদারকি করা হচ্ছে। যেখানে সমস্যা সেখানে ঠিকমত কাজ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হচ্ছে।

ঠিকাদার আবু সাঈদ বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, বিশেষ প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় তদারকি বাড়ানো হবে। এছাড়া এ কাজে অনিয়ম হলে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সঠিকভাবে কাজ না হলে কাজের বিল দেয়া হবে না।

সাংবাদিক সাঈদুর রহমান চৌধুরীর শ্বশুর জাফর আলীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

শেখ শহীদুল ইসলাম বাবলু
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
সাংবাদিক সাঈদুর রহমান চৌধুরীর শ্বশুর জাফর আলীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও মাল্টিমিডিয়া বিভাগের হেড অব নিউজ সাঈদুর রহমান চৌধুরীর শ্বশুর মোহাম্মদ জাফর আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় গ্রামের বাসিন্দা।

গত বুধবার (৪জুন ) রাত ১১টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।সেইসাথে সম্প্রতি তিনি যক্ষা রোগেও আক্রান্ত হন।

তার মৃত্যূর খবর নিশ্চিত করে সাংবাদিক সাঈদুর রহমান চৌধুরী বলেন,বৃহস্পতিবার বিকালে আমার শ্বশুর আব্বা অসুস্থতা বোধ করলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।রাতের দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।পরে রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান।ডাক্তার জানিয়েছেন তিনি কার্ডিয়াক এরেস্টে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ই জুন) সকাল ১১টায় জানাজার নামাজ শেষে নিজ গ্রাম পূর্ব কাটগড় আলিফ মসজিদ কবরস্থানে মরহুমের দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

তার মৃত্যুতে পরিবার,গ্রামবাসী,পূর্ব কাটগড় প্রবাসী কল্যাণ সমিতি সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।

তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ১১ লক্ষ টাকা আত্মশাৎ এর অভিযোগ

ইয়াসিন আলী
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ১১ লক্ষ টাকা আত্মশাৎ এর অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারি বিল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে পার্কে ভরাট করে উন্নয়ন প্রকল্প দেখি য়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমি টির সভাপতির নামে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য বলছেন, সব কাজ ইউএনও স্যার করেছেন, আমি কিছুই জানিনা। টাকা তুলে ইউএনও স্যারের নামে তার অফিসের লোকের কাছেই বুঝিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের কর্মচারী বলছেন, টাকা প্রকল্পের, স্যারের হাতেই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিরর অন্য একজন ইউ পি সদস্যকে দিয়ে একই স্থানের উন্নয়নের নামে আরও ১১ লাখ টাকা টাকা উত্তোলন কর তে চাইলে, ওই ইউপি সদস্যের বিরোধীতায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার বিল দিলে ও প্রকল্প বাস্ত বায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য’র দাবি ব্যাংকে জমা করেননি বিলটি।
জানা গেছে , জীবননগর উপজেলার কে.ডি.কে ইউনিয়নের এক তারপুর বাওড়ের পাশে বেশ কয়েক বছর ধরে একটি পার্কের কাজ চলছে।
ইতোমধ্যেই পার্কের উন্নয়নের জন্য এডিপির মাধ্যমে কিছু কাজ চলমান রয়েছে।
তবে এই পার্কের সাইড বাড়ানোর জন্য জীবন নগর উপজেলা নিবা হী অফিসার একতারপুর বাওড় থে কে বেশ কিছু দিন যাবৎ বালি তুলছি লেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বালি তোলা বন্ধ করে দেন ইউএনও।
এদিকে সরকারি বাওড় থেকে বালি তুলে পার্ক ভরা ট করা হলেও সেখানে পার্ক উন্নয়ন নামে প্রকল্প দেখি য়ে ২ লাখ টাকা ইতোমধ্যেই তুলে নিয়েছেন জীবনন গর উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএন ও) মোঃ আল আমিন।
কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য ও ওই পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি স্বপ্না খাতুন বলেন, দুইবারে দুই লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
ইউএনও স্যার আমাকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমি টির সভাপতি বানিয়েছেন । আমার হাতে টাকা পয়সা কিছু দেয়নি।
আমাকে শুধু নাম মাত্র সভাপতি করা হয়েছে । ওখানে কাজ হচ্ছে কিনা তাও আমি জানিনা।’
আমি স্যারের অফিসের সোহেলর কাছে টাকা দিয়ে এসেছি । আমাকে এক টাকাও দেয়নি।
একজন ইউএনও যদি বলে, আমি কি করবো। তারপরও আমি ইউএনও কে বলে এসছি, এর পর থেকে আমাদের পিআইসি করবেন না। আমাদের মাথার ওপর ভেঙ্গে আপনি খাচ্ছেন, আমরা খাচ্ছি না।
অনুসন্ধানের এক পর্যায়ের মুঠোফোনে যোগা যোগ করা হয়, উপ জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী সোহেল রা নার সাথে। প্রথমে টাকার বিষয় অস্বীকার করলেও, স্বপ্না খাতুনে র নাম শোনা র পর সোহেল রানা বলেন, ‘প্রকল্পটা বিভাগীয় কমি শনার স্যারের।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ( পিআই সি) স্বপ্না খাতুন। তবে কাজ সম্পূর্ণ করছেন ইউএনও স্যার।
স্বপ্না খাতুনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপজে লা পরি ষদের সিএ পিট্টু ভাইয়ের কাছে আমি টাকা টা দিয়েছিলাম।
কথা বলার এক পর্যায়ে সোহেল রানা বলেন এখানে পিট্টু ভাই আছেন। তার সাথেই আপ নি কথা বলেন।
মুঠোফোনটি উপজেলা পরিষদের সিএ সে লিম আহ সানুর রহমান পিটু হাতে নিয়ে বলেন, ‘ওটা প্রকল্পের টাকা। টাকাটা আমি নিইনি।
আমার নেয়ার ক্ষমতা নেই। সোহেল আমার কাছে দিয়েছে রাখার জন্য, ইউএনও স্যার রাখতে বলে ছেন।
টাকা স্যারের কাছে আছে। ব্যায় হয়েছে কি না,বলতে পারছি না। স্যার বোধহয় প্রকল্পের কাজে টাকা ব্যায় করেছেন ।
অপরদিকে, একই স্থান ওই পার্কের উন্নয়নে র নামেই কেডিকে ইউ নিয়নের আর এক ইউপি সদস্য আব্বাস আলীকে আর একটি প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) করা হয়েছে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আ মিন নিজে কাজ করলেও ইউপি সদস্য আ ব্বাস আলীকে দিয়ে প্রকল্পের টাকা উঠানো র জন্য ইউএনও অফিস থে কে চাপ দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে অর্ধেক ব্যায় তথা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বিল উঠানোর কাজগপত্র ইউপি সদস্য আব্বাস আলীকে দেয়া হয়েছে।
তবে নিজে কাজ না করে আবার টাকা তুলে দেয়া টাকে নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা মনে কর ছেন ইউপি সদস্য আব্বাস আলী। তিনি বাধ সেধেছেন, টাকা তুলবেন না।
কে.ডি.কে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আব্বাস আলী বলেন, একতারপুর বাওড়ের পাশে যে পার্ক নির্মান হচ্ছে ওখানে মাটি ভরা টের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ( পি আইও) অফিস থেকে আমাকে প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) করে ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন।
কিন্তু পিআইসি হিসাবে আমার নাম থাকলে ও ইউএ নও স্যার নিজে বাওড় থেকে বালি তুলে সেটা ভরাট করছেন। এখন আমাকে উপজে লায় ডেকেছিলেন টাকা তুলে দিতে বল ছেন।
সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক (কাগজ) দিয়েছেন। ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য। আমি জমা দেইনি।
আমার দোকানে রেখে দিয়েছি। আমি বলে এসছি, কাজের পিআইসি আমি, আমি জা নি না কাজ শেষ হয়েছে।
আমি কাজ না করে টাকা তুলবো না। আমি কালকে ইউএনও সারের সাথে দেখা কর বো। স্যার কে বল বো, আমি পিআইসি হলে আমা কে দিয়েই কাজ করা তে হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অঞ্জন কুণ্ডু বলেন, একতার পুর বাওড়ের পাশে পা র্কের উন্নয়ন কাজে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি র সভাপতি ( পিআ ইসি) ইউপি সদস্য স্বপ্না খাতুন দুই বারে এক লাখ টাকা মোট দুই লাখ টাকা তুলেছেন।
এছাড়া, আরেকজন পিআইসি ইউপি সদস্য আব্বাস আলীর বরাদ্দ ১১ লাখ টাকা।
এরমধ্যে অর্ধেক সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসা র (ইউএনও) মোঃ আল আমিনের সাথে কথা বলার জন্য মুটোফোনে যোগা যোগ ক রার চে ষ্ঠা করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’নিজস্ব প্রতিবেদক,চুয়াডাঙ্গা:চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলা নির্বা হী অফিসারের বিরুদ্ধে সরকা রি বিল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে পার্কে ভরাট করে উন্নয়ন প্রকল্প দেখি য়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমি টির সভাপতির নামে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য বলছেন, সব কাজ ইউএনও স্যার করে ছেন, আমি কিছুই জানিনা। টাকা তুলে ইউএ নও স্যারের নামে তার অফিসের লোকের কাছেই বুঝিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের কর্মচারী বলছেন, ‘টাকা প্রকল্পের। স্যারের হাতেই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিরর অন্য একজন ইউ পি সদস্যকে দিয়ে একই স্থানের উন্নয়নের নামে আরও ১১ লাখ টাকা টাকা উত্তোলন কর তে চাইলে, ওই ইউপি সদস্যের বিরোধীতায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার বিল দিলে ও প্রকল্প বাস্ত বায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য’র দাবি ব্যাংকে জমা করেননি বিলটি।
জানা গেছে , জীবননগর উপজেলার কে.ডি.কে ইউনিয়নের এক তারপুর বাওড়ের পাশে বেশ কয়েক বছর ধরে একটি পার্কের কাজ চলছে।
ইতোমধ্যেই পার্কের উন্নয়নের জন্য এডিপির মাধ্যমে কিছু কাজ চলমান রয়েছে।
তবে এই পার্কের সাইড বাড়ানোর জন্য জীবন নগর উপজেলা নিবা হী অফিসার একতারপুর বাওড় থে কে বেশ কিছু দিন যাবৎ বালি তুলছি লেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বালি তোলা বন্ধ করে দেন ইউএনও।
এদিকে সরকারি বাওড় থেকে বালি তুলে পার্ক ভরা ট করা হলেও সেখানে পার্ক উন্নয়ন নামে প্রকল্প দেখি য়ে ২ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ই তুলে নিয়েছেন জীবনন গর উপজেলা নিবাহী অফি সার (ইউএন ও) মোঃ আল আমিন।
কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য ও ওই পার্কের অবকাঠামোগত উন্ন য়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি স্বপ্না খাতু ন বলেন, ‘দুইবা রে দুই লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়ে ছে।
ইউএনও স্যার আমাকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমি টির সভাপতি বানি য়েছেন । আমার হাতে টাকা পয়সা কিছু দেয়নি।
আমাকে শুধু নাম মাত্র সভাপতি করা হয়েছে । ওখানে কাজ হচ্ছে কিনা তাও আমি জানিনা।’
আমি স্যারের অফিসের সোহেলর কাছে টাকা দিয়ে এসেছি । আমাকে এক টাকাও দেয়নি।
একজন ইউএনও যদি বলে, আমি কি করবো। তার পরও আমি ইউএনও কে বলে এসছি, এর পর থেকে আমাদের পিআইসি করবেন না। আমাদের মাথার ওপর ভেঙ্গে আপনি খাচ্ছেন, আমরা খাচ্ছি না।
অনুসন্ধানের এক পর্যায়ের মুঠোফোনে যোগা যোগ করা হয়, উপ জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী সোহেল রা নার সাথে। প্রথমে টাকার বিষয় অস্বীকার করলেও, স্বপ্না খাতুনে র নাম শোনা র পর সোহেল রানা বলেন, ‘প্রকল্পটা বিভাগীয় কমি শনার স্যারের।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ( পিআই সি) স্বপ্না খাতুন। তবে কাজ সম্পূর্ণ করছেন ইউএনও স্যার।
স্বপ্না খাতুনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপজে লা পরি ষদের সিএ পিট্টু ভাইয়ের কাছে আমি টাকা টা দিয়েছিলাম।’
কথা বলার এক পর্যায়ে সোহেল রানা বলেন এখানে পিট্টু ভাই আছেন। তার সাথেই আপ নি কথা বলেন।
মুঠোফোনটি উপজেলা পরিষদের সিএ সে লিম আহ সানুর রহমান পিটু হাতে নিয়ে বলেন, ‘ওটা প্রকল্পের টাকা। টাকাটা আমি নিইনি।
আমার নেয়ার ক্ষমতা নেই। সোহেল আমার কাছে দিয়েছে রাখার জন্য, ইউএনও স্যার রাখতে বলে ছেন।
টাকা স্যারের কাছে আছে। ব্যায় হয়েছে কি না,বলতে পারছি না। স্যার বোধহয় প্রকল্পের কাজে টাকা ব্যায় করেছেন ।’
অপরদিকে, একই স্থান ওই পার্কের উন্নয়নে র নামেই কেডিকে ইউ নিয়নের আর এক ইউপি সদস্য আব্বাস আলীকে আর একটি প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) করা হয়েছে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আ মিন নিজে কাজ করলেও ইউপি সদস্য আ ব্বাস আলীকে দিয়ে প্রকল্পের টাকা উঠানো র জন্য ইউএনও অফিস থে কে চাপ দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে অর্ধেক ব্যায় তথা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বিল উঠানোর কাজগপত্র ইউপি সদস্য আব্বাস আলীকে দেয়া হয়েছে।
তবে নিজে কাজ না করে আবার টাকা তুলে দেয়া টাকে নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা মনে কর ছেন ইউপি সদস্য আব্বাস আলী। তিনি বাধ সেধেছেন, টাকা তুলবেন না।
কে.ডি.কে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আব্বাস আলী বলেন, ‘একতারপুর বাওড়ের পাশে যে পার্ক নির্মান হচ্ছে ওখানে মাটি ভরা টের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ( পি আইও) অফিস থেকে আমাকে প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) করে ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন।
কিন্তু পিআইসি হিসাবে আমার নাম থাকলে ও ইউএ নও স্যার নিজে বাওড় থেকে বালি তুলে সেটা ভরাট করছেন। এখন আমাকে উপজে লায় ডেকেছিলেন টাকা তুলে দিতে বল ছেন।
সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক (কাগজ) দিয়ে ছেন। ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য। আমি জমা দেইনি।
আমার দোকানে রেখে দিয়েছি। আমি বলে এসছি, কাজের পিআইসি আমি, আমি জা নি না কাজ শেষ হয়েছে।
আমি কাজ না করে টাকা তুলবো না। আমি কালকে ইউএনও সারের সাথে দেখা কর বো। স্যার কে বল বো, আমি পিআইসি হলে আমা কে দিয়েই কাজ করা তে হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অঞ্জন কুণ্ডু বলেন, একতার পুর বাওড়ের পাশে পা র্কের উন্নয়ন কাজে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি র সভাপতি ( পিআ ইসি) ইউপি সদস্য স্বপ্না খাতুন দুই বারে এক লাখ টাকা মোট দুই লাখ টাকা তুলেছেন।
এছাড়া, আরেকজন পিআইসি ইউপি সদস্য আব্বাস আলীর বরাদ্দ ১১ লাখ টাকা।
এরমধ্যে অর্ধেক সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা তোলা হয়ে ছে।’
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসা র (ইউএনও) মোঃ আল আমিনের সাথে কথা বলার জন্য মুটোফোনে যোগা যোগ ক রার চে ষ্ঠা করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’

বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক:পর্যটন এলাকায় সৌন্দর্য রক্ষায়

স্যামি চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৩:২৪ অপরাহ্ণ
বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক:পর্যটন এলাকায় সৌন্দর্য রক্ষায়

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে বান্দরবান। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এ জেলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে বিদেশেও। এ শিল্পের উন্নয়নে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী’সহ স্থানীয়দের আরও যত্নশীল ও সচেতন হতে হবে। সোমবার বান্দরবানের জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, গোটা জেলাটিকে পর্যটন বান্ধব গড়ে তোলতে হবে। পর্যটন শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় রিক্সা-মোটরসাইকেল, সিএনজি’সহ বিভিন্ন গাড়ির গ্যারেজ, ভাঙ্গাচুরার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শহরের মূল সড়কগুলো সরিয়ে পর্যটকদের চোখের আড়ালে নিতে হবে।
জরাজীর্ণ দোকান অবকাঠামো গুলো ভেঙে সাজানো গোছানো পরিচ্ছন্ন পর্যটন শহর গড়ে তোলতে পরিপাটি রাখতে হবে যাতে পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়। শহরের ফুটপাত-রাস্তাঘাট অলিগলি গুলো দখলমুক্ত রাখতে হবে যাতে ভ্রমণকারী পর্যটকরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে। তিনি বলেন, পর্যটন মানে হচ্ছে আতিথেয়তা। সেবার মন-মানসিকতা নিয়ে
সুন্দর ব্যবহার এবং আতিথেয়তায় মুগ্ধ করে তোলতে হবে পর্যটকদের। ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকের ঢল নামবে জেলায়। এসময়ে কোনো ধরনের পর্যটক হয়রানি এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টরা মনিটরিং কমিটি গঠন করে তদারকি করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিসি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আবু তালেব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মমতা আফরিন, জেলা প্রশাসনের এনডিসি আসিফ রায়হান, জেলা হোটেল রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ট্যুরিস্ট জীপগাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম, রেষ্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মাস্টার, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সহ সকলে উপস্থিত ছিলেন