আওয়ামী ও বিএনপির রশি টানাটানিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চৌগাছা পৌর পশুহাট
আহাম্মেদ, যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫ । ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ
যশোরের চৌগাছার ঐতিহ্যবাহি পৌর পশুহাট অবশেষে জায়গা সংকটের কারনে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কালী গঞ্জ বারোবাজারের আওয়ামীলীগ নেতা লালু ও চৌগাছার বিএনপি নেতা আতাউর রহমান লাল যৌথ ভাবে ইজারা নিয়ে বাবসা পরিচালনা করে আসছেন চৌগাছার বিএনপি নেতা লাল, তিনি তার শশুর ও অন্যদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে পশু হাট পরিচালনা করে আসছেন, কিন্তু ৫ ই আগস্ট এর পর থেকে চৌগাছার বিশিষ্ট বিসিআইসি সার ডিলার লেন্টু কাঁচাবাজার এর পাশা পাশি পশু হাট বেশি নিলামে ইজারা নেওয়ার জন্য টাকা জমা দেই, কিন্তু আওয়ামী বিএনপি পন্থী লাল সুকৌশলে চৌগাছা পৌর সভা থেকে একটা লিখিত পেপার্স হাতিয়ে নেই, পরে তা জানতে পেয়ে সার বাবসায়ী উচ্চ আদালতে মামলা করেন, যার কারণে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গো হাটার খাজনা টাকা আদায় পৌর প্রশাসকের হাতে চলে যায়, ৪ সপ্তাহের মধে মামলার শুনানি শেষ করার জন্য উচ্চ আদালত নির্দেশ দেন
কিন্তু আওয়ামী বিএনপি পন্থী লাল তার শশুরালয় উপজেলা প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ এর সাবেক চেয়ারম্যান ও নেতা শুকুর আলী মৃধার জমির পরিমাণ বেশি হওয়ায় গো -হাটার আঁশে পাশের জমি আর লিজ দিবে না কারণ জামাই বাবু বিএনপি র নেতা লাল এর হাট না থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকায়,
হাটে প্রবেশের প্রধান গেইট তারা বড়বড় বাঁশ আর পেরেক মে রে বন্ধ করে দিয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায় উপজেলা প্রশাসন একটা চক্র লে টাকার বিনিময়ে হাট পাবার পক্ষে কাজ করছেন বলে এলাকাবাসী জানান
ফলে কুরবানীর আগে এমনকি পরেও আদৌ চৌগাছায় পশুহাট বসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংসয়।
তবে অনেকে মনে করছেন হাট নিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষের রশি টানাটানির ফলে এই বেহালদশা ক্ষতি গ্রস্থ হবে পৌরসভা তথা এ জনপদের মানুষ।
এলাকাবাসি বলেন লাল চেয়ারম্যান দীর্ঘ আওয়ামীলীগ এর শাসনামলে হাটের ইজারা নিয়া খাজনা আদায় করেছেন, এখন সবাই পরিবর্তন চাই , ফলে লালের উচিৎ কালীগঞ্জের ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ এর নেতার পক্ষে কাজ না করে চৌগাছা উপজেলা বাসির যে করো অধীনে পশু হাটটি পরিচালিত হোক
জানা গেছে, চৌগাছা মহেশপুর সড়কে অত্যান্ত মনোরম পরিবেশে বছরের পর বছর ধরে চৌগাছা পৌর পশুহাট চলে আসছিলো।
পৌরসভার মাত্র ৩০ শতাংশ জমি আর প্রায় ১০ বিঘা জমি ছিলো লাল চেয়ারম্যান এর শশুর সহ নিকট আত্মীয় থেকে লিজ নেয়া মৃধা দের কাছ থেকে
বুধবার আওয়ামী বিএনপির পন্থী জামাই লাল বাবুর হাতে খাজনা আদায় নাই বলে জমি মালিক গণের নাম ভাংগিয়ে আর জমি দিবেন না মর্মে তাদের জমিতে প্রবেশ করা প্রধান সড়কটি বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরী করে দিয়েছে।
আর হাটের ভিতরে গরু বেধে রাখা বাঁশখুটি খুলে নিয়ে যেতে শুরু করেছে আওয়ামীলীগ নেতা ও বিএনপির সুবিধা ভোগী লাল চেয়ারম্যান যা পূর্বের হাট মালিক।
ফলে কুরবানীর আগে আর চৌগাছা পশুহাট বসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংসয়।
চৌগাছায় পশুহাট বসবে না এমন খবরে দিনের বেশির ভাগ সময় পশুহাটের স্থানে স্থানীয় জনতা, গরু ক্রেতা বিক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসা য়ীরা ভিড় করেন।
তাদের সকলের একটিই দাবি চৌগাছাবাসির প্রান বলে খ্যাত এই পশুহাট যেন নষ্ট না হয়। হাটকে কেন্দ্র করে শতশত মানুষের রুজি রুটির ব্যবস্থা হয়েছে, হাট বসবে না এমন খবরে তারা ছুটে এসেছেন এবং অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন বিগত বছর গুলোতে জমি মালিকগন যারা হাট চালিয়েছে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলো।
এখন তারা হঠাৎ করে জমি লিজ দিবেনা এবং তাদের সমুদয় জমি ঘিরে দিয়েছে এতে করে হাট বসানো তো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, নানা চড়াই উতরাই পার করে চৌগাছা পৌর পশুহাট মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে।
হাট বসাতে পৌরসভা যখন জমি খুজে পেতে ব্যর্থ তখন গোবিন্দ কুমার ও আতাউর রহমান লাল বর্তমান হাটের পাশে ৩০ শতক জমি পৌরসভার নামে ক্রয় করে দেন। এই সুবাধে প্রতি বছর লাল চেয়ারম্যান প্রায় নেম মাত্র হারে হাট ইজারা পেয়ে থাকেন
আওয়ামী বিএনপি আতাউর রহমান লাল পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট হতে পশুহাট নতুন বাংলা সনে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা দিয়ে চুক্তি করে নেন। আর এতে বাধসাধে বিএনপি কর্মী আতিকুর রহমান লেন্টু। সে আরও বেশি টাকা দিবেন মর্মে মহামান্য আদলতে একটি রিট করেন।
আদালত ওই চুক্তি স্থগিত করার পাশাপাশি পৌরসভা কে খাস আদায়ে নির্দেশনা দেন। বাংলা সনের প্রথম থেকেই পৌরসভা খাস আদায় করে আসছিলো।
সূত্র জানায়, গত সোমবার মহামান্য আদালত থেকে একটি নির্দে শনা এসেছে পুনরায় পশুহাট টেন্ডার করার জন্য।
ইতোমধ্যে পূর্বের হাট মালিকরা আর টেন্ডারে যাবে ননা এমনকি হাটও চালাবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
জমি মালিক লাল চেয়ারম্যান এর শশুর আওয়ামীলীগ নেতা শুকুর চেয়ারম্যান,আতিয়ার মৃধা, মন্টু মৃধা,ওলিয়ার মৃধা, আব্দুল করি ম, আজিত হোসেন বলেন,চেয়ারম্যান লাল যখন হাট চালাবেনা তখন এই জমি আমরা অন্যত্র লিজ দিবোনা।
বিগত হাটের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সাবেক মেম্বর গোবি ন্দ কুমার রাহা বলেন, পৌরসভার সাথে আমরা চুক্তি বদ্ধ হওয়ার পর এক জন ব্যক্তির কারনে আদালত সেটি স্থগিত করলো। এখন আদালত রিটেন্ডারের আদেশ দিয়েছে।
পৌরসভা রিটেন্ডার দিবে আমরা কি করবো সেটি ভেবে দেখবো এরই মধ্যে জায়গা মালিকরা জমি লিজ দিবেনা বলে জানিয়ে দিয়ে ঘিরে দিয়েছে।
রশি টানাটানি ছেড়ে চৌগাছায় পশুহাট কি ভাবে রাখা যায় সেদিক সকলের নজর দেয়ার আহবান জানিয়েছেন হাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও উপজেলার সচেতন মহল।