
আওয়ামী লীগ সমর্থিত যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবু সিদ্দিককে ডিটেনশন (আটকাদেশ) দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যশোরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) মো. আজহারুল ইসলাম
আজ বুধবার (২৮ মে )বিকেলে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত মঙ্গলবার (২৭ মে) গভীর রাতে হৈবতপুর এলাকা থেকে আবু সিদ্দিককে আটক করে যশোর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত আটকাদেশে উল্লেখ করা হয়, আবু সিদ্দিক যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কট্টর সদস্য। তিনি যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের ঘনিষ্ঠ সহচর। আবু সিদ্দিক পলাতক শেখ হাসিনার ভিডিও বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে তাঁদের নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) দেশে এনে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনায় সচেষ্ট রয়েছেন। তার অংশ হিসেবে ছাত্রলীগ, যুবলীগের কতিপয় সদস্য নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কখনো প্রকাশ্যে কখনো ছদ্মবেশে ও আত্মগোপনে থেকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাজনিত ,জনবিসশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য পরিচালনা করছেন।
আটকাদেশে উল্লেখ করা হয়, উক্ত ব্যক্তি তাঁর দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশে অস্থির ও অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করে আসছেন। এ কারণে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আবু সিদ্দিককে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৫৪ ধারায় আটক করা হয় এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ৩(২) ধারা মোতাবেক ডিটেনশনের (আটকাদেশের) জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়। আবেদনটি মঞ্জুর করে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন
বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভূইয়া আবু সিদ্দিকের আটকাদেশ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারে।