যশোরের চৌগাছায় রিক্তা খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

কামরুল স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশের সময়: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫ । ১১:০৮ অপরাহ্ণ
এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে উপজেলার মশ্মমপুর (ঢেকে পুতা ) গ্রামে। নিহত রিক্তা খাতুন রোকনুজ্জামান রোকনের দ্বিতীয় স্ত্রী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে যশোর মর্গে পাঠিয়েছে 
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের রিক্তা খাতুনের সাথে চৌগাছার গদাধরপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের বিয়ে হয়।বিয়ের পর তাদের ঘরে একে একে তিনটি সন্তান আসে। সংসারের প্রয়োজনের তাগিদে আজিজুর রহমান মালায়েশিয়া যান। তিনি বর্তমানে প্রবাসেই আছেন। এই অবস্থায় সন্তান স্বামী বাদ রেখে প্রায় এক বছর  আগে রিক্তা খাতুন ঢেকেপুতা গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে ট্রাক্টর চালক রোকনুজ্জামান কে বিয়ে করেন ও পরে ঢাকাতে বসবাস শুরু করেন ।স্থানীয়রা জানান পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে তাদের ঘরে সন্তানাদি থাকা সত্বেও বিয়ে করে।রোজনুজ্জামান রোকনের প্রথম স্ত্রীর চার বছরের ছেলে সন্তানসহ মোট ৪টি ছেলে সন্তান আছে।
বড় ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী এবং তিন ছেলে ও দুই স্ত্রী নিয়ে তিনি এখন গ্রামেই বসবাস করেন। স্থানীয়রা আরও জানান, বুধবার সকাল ০৯.৩০  দিকে ঘরের মেঝেতে রক্তাত্ব অবস্থায় রিক্তা খাতুন কে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর মর্গে পাঠিয়েছে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। বাড়ীর দুই ধারে পৃথকভাবে দুই স্ত্রী বসবাস করে। দ্বিতীয় স্ত্রীর কারনে বাড়ীতে প্রায় সময় দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। সবাই বলছে দ্বিতীয় স্ত্রী ই ঝগড়া লাগিয়ে রাখতো ও চারিত্রিক কিছু সমস্যা ছিলো ।এই অবস্থায় রোকনুজ্জামান রোকন দ্বন্দ্ব এড়ানোর জন্য পাশের গ্রাম মশ্মমপুর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পাশে দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য বাড়ি নির্মান করছিলেন। বাড়ি নির্মানের কারনে প্রতিদিনই সেখানে যাওয়া আসা করেন তারা।এ ঘটনার দিন সকালে রিক্তা খাতুন নির্মানাধীন বাড়িতে যান। সেখানে কাজকর্ম সেরে সকালে বাড়িতে গোসল করার জন্য ফিরে আসেন। এ সময় প্রথম স্ত্রী বিলকিচ খাতুন মাংশ কেনার জন্য চৌগাছা বাজারের যান বলে  এলাকাবাসি জানান। আশেপাশের লোকজন জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারনে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। তাদের বাড়িতে দ্বিতীয় পক্ষের বউকে নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। প্রথম স্ত্রী বিল কিচ বেগম বাজারে মাংশ কিনতে গিয়েছিলেন  দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য ।হত্যাকান্ডের সাথে সাথে ওই বাড়ির সকল সদস্য চলে যান আত্ম গোপনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ এখনো বাড়িতে ফেরেনি বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়, তবে প্রতিবেশি ও স্থানীরা ছাড়া বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি।  দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা যাবে।
সম্পাদক: মনজুর আলম, প্রকাশক: আমিন উদ্দীন ।  কপিরাইট © প্রথম সকাল কর্তৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন